শ্রীরামকৃষ্ণ – কালী- সাধক , ধর্মীয় গুরু ।

শ্রীরামকৃষ্ণ

ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ হুগলী জেলার কামারপুকুর গ্রামের এক অতীব সামান্য ব্রাহ্মণ সন্তান ছিলেন এবং তিনি মানবসমাজে সকলের কাছে ধর্মীয় বিশ্বাসে অবতাররূপে আবির্ভূত হয়েছিলেন।

তাঁর অলৌকিক ক্রিয়াকলাপ অলৌকিক কর্মজীবন এবং অপার্থিব অবদান সমাজ এবং ভারতবর্ষের ধর্মীয় মানুষের কাছে একটি অতি আশ্চর্যজনক অধ্যায়।

ঠাকুর রামকৃষ্ণ মানুষ এবং যুগের প্রয়ােজনে অবতার রূপে আবির্ভূত হয়েছিলেন। সমাজে যখন বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে বিভেদ চরম রূপ নিয়েছে এবং মানুষের মধ্যে ধর্মীয় বিভেদ সাংঘাতিক আকার ধারণ করেছে তখন মানুষ এবং সমাজের সেই সংকটকালে তিনি ধর্ম সমন্বয়ের বাণী প্রচার করেছিলেন।

তিনি প্রত্যেকটি ধর্মের আদর্শকে নিজের জীবনে সাদরে গ্রহণ করেন এবং তাকে সুন্দরভাবে সাধনা করেছিলেন। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণর জীবনে এই অদ্ভুত সাধনার মধ্য দিয়ে দিব্যদর্শন ঘটেছিল এবং তিনি বিভিন্ন ধর্মীয় মহাপুরুষদের দর্শন ও মিলন লাভ করেন।

তার কাগজে কলমে লেখাপড়া খুব সামান্যই ছিল। দক্ষিণেশ্বর কালীমন্দিরে তিনি পাঁচ টাকা মাইনের পূজারি ছিলেন। কিন্তু ঠাকুর রামকৃষ্ণের কাছে তৎকালীন সমাজের স্বনামধন্য এবং শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্বের সমাগম ঘটেছিল।

‘ শিব জ্ঞানে জীব সেবা’—এই ভাব আন্দোলন সমগ্র জগৎকে এক নতুন চেতনায় উদ্বুদ্ধ করেছে এবং আধ্যাত্মিক ভারতে এই ভাবনা এবং চেতনা আজও সমান ভাবে প্রবাহিত।

ইংরাজি ১৮৩৬ খ্রিস্টাব্দের ১৮ ফেব্রুয়ারি ও বাংলা ফায়ূন মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথি বুধবার শ্রী রামকৃষ্ণের জন্ম। গদাধর বা গদাই তাঁর ডাকনাম ছিল।

তাঁর পিতা ছিলেন ক্ষুদিরাম চট্টোপাধ্যায় ও মাতার নাম ছিল চন্দ্রমণিদেবী। বাল্য বয়সে তিনি কামারপুকুর গ্রামে জমিদার লাহাবাবুদের পাঠশালায় লেখাপড়ার সামান্য সুযােগ পেয়েছিলেন। সেইজন্য মােটামুটি লিখতে ও পড়তে শিখেছিলেন তিনি।

পাঠশালার পড়া তাঁর ছ বছর বয়সে শেষ হয়ে গিয়েছিল কারণ ‘চাল কলা বাঁধা’ বিদ্যেতে তাঁর বিশ্বাস ছিল না।

কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় এই যে বাল্যকালেই তাঁর মধ্যে নানান গুণের সমাবেশ ঘটেছিল। তিনি সুন্দর গান গাইতে পারতেন। এছাড়াও অভিনয় এবং ছবি আঁকতেও ভালােবাসতেন। মাটি দিয়ে তিনি কুমােরদের মতাে সুন্দর মূর্তি গড়তে পারতেন। এই সব বিভিন্ন গুণ বাল্যকালেই তাঁর মধ্যে পরিলক্ষিত হয়।

লাহাবাবুদের অতিথিশালার ভ্রাম্যমাণ সাধুদের কাছে এবং গ্রামের পথিকদের কাছ থেকে রামায়ণ, মহাভারত শুনে তিনি ধর্মীয় অনেক গূঢ় তত্ত্ব আবিষ্কার করেছিলেন। এ বিষয়ে তিনি অনেক জ্ঞানলাভ করেন। এছাড়াও তিনি পুরাণের গল্প সুন্দর করে শােনাতে পারতেন।

ঠাকুর রামকৃষ্ণকে বাল্যকাল থেকেই অবতার বলে পুজো করা হতাে। ছয় থেকে আট বছর বয়সের মধ্যে তাঁর দুবার ভাবসমাধি হয়।

কামারপুকুর গ্রামে চিনু শাঁখারী নামে এক বয়স্ক ভক্তিমান লােক গদাধরকে পুজো করে একদিন বলেছিলেন, ‘গদাই, জগৎ যেদিন তােমাকে পুজো করবে, তখন এই পৃথিবীতে আমি থাকবাে না। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ এই চিনু শাঁখারীর কাছে প্রথম ভগবানরূপে পূজিত হন।

গদাধর এক অদ্ভুত ছেলে ছিলেন। ছােটবেলায় তিনি যেমন ছিলেন দুরন্ত, তেমনি ছিলেন খামখেয়ালি। তাঁর একদম পড়াশােনায় মন ছিল না। শুধু ঘুরে বেড়ানােই তার কাজ।

তিনি কখনাে শিব সেজে, কখনও কৃষ্ণ সেজে সবাই মিলে ছেলেদের সাথে দলবেঁধে যাত্রা করে বেড়াতেন। গ্রামে সকলের বাড়িতে অবাধ গতিতে তাঁর যাওয়া আসা ছিল। গ্রামের মেয়ে বউদের তিনি চোখের মণি ছিলেন।

কামারপুকুর গ্রামের বৃদ্ধ বৃদ্ধারা মনোেযােগ সহকারে বিকেলবেলা গদাইয়ের রামায়ণ পাঠ শ্রবণ করতাে। সেই সময় আম গাছের উপর একটা হনুমান বসেছিল। সে তখন হঠাৎ লাফ দিয়ে নেমে এসে গদাধরের কাছে বলল এবং

ওনার পা জড়িয়ে ধরল । সেই দৃশ্য দেখে ভয়ে সব শ্রোতারা পালিয়ে গেল। গদাধর কিন্তু একটুও নড়ল না। সে হনুমানের মাথায় হাত বুলিয়ে দিল। মনে হল যেন হনুমান শ্রীরামচন্দ্রের আশীর্বাদ পেয়ে আনন্দিত হয়ে আবার লাফ দিয়ে গাছে উঠে গেল।

কামারপুকুর থেকে দু-মাইল দূরে আনুড় গ্রামে একটি বিশাল গাছের তলায় দেব বিশালক্ষ্মীর একটি বিখ্যাত মন্দির ছিল।

খােলা প্রান্তরেই দেবী অবস্থান করতেন এবং গ্রামের লােকেরা ভক্তিভরে বিশাল দেবীর পুজো দিতে আসতাে।

একসময় কামারপুকুর গ্রামের মেয়েরা বিশালক্ষ্মী দেবীর পুজো দিতে যাচ্ছিল। সেইসময় হঠাৎ গদাধর মেয়েদের দলে ঢুকে গান এবং গল্প করতে করতে

কিন্তু কিছুদূর যাওয়ার পর গদাইয়ের গান এবং গল্প থেমে গেল। হঠাৎ তার চোখ দিয়ে জল পড়তে লাগল। সেই সঙ্গে তার শরীর আড়ষ্ট হয়ে গেল।

প্রসন্ন নামে একটি মেয়ে তাকে অবস্থা দেখে সমস্ত গ্রামের মেয়েরা কি করবে বুঝতে পারল না। কেউ তাঁকে চোখে মুখে জলের ঝাপটা দেয় আর কেউ বা হাওয়া করে।

ধরতেই গদাধর তার কোলে পড়ে গেল। এই গ্রামের মেয়েরা সবাই মনে করতে লাগল গদাইয়ের ওপর মায়ের ভর হয়েছে আর সেইজন্য বলতে লাগল, মা বিশালক্ষ্মী প্রসন্না হও, মা রক্ষা করাে, সবাই আশ্চর্য হয়ে গেল যে কয়েকবার দেবীর নাম করতে করতেই গদাই-এর জ্ঞান ফিরে এলাে। সে হাঁসিমুখে উঠে বসল। প্রসন্ন অন্য মেয়েদের গদাইকে খেতে দিতে বলল। কিন্তু তাকে খেতে দেবার মতাে কিছুই তাদের কাছে নেই। কেবলমাত্র দুধ, কলা, বাতাসা ইত্যাদি ভােগের সামগ্রী মেয়েদের কাছে ছিল। কথা

প্রসন্ন বলল, ভােগের সামগ্রী গদাইকে দিলেই মেয়েদের পুণ্য হবে। এই শুনে এবং বিশ্বাস করে গ্রামের মেয়েরা পুজোর জন্য তখন নৈবেদ্য থেকে কলা, দুধ, বাতাসা গাইয়ের মুখে তুলে দিল।

গাই-এর বয়স তখন পাঁচ বছর। তার কেন এই অবস্থা হয়েছিল এই বর্ণনা সে মেয়েদের কাছি দিয়ে বলল যে মায়ের চিন্তা করতে করতে দেবীর পাদদেশে তাঁর মন লয় হয়।

একবার শিবরাত্রি উপলক্ষে গ্রামের সীতানাথ পাইনের বাড়িতে যাত্রার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

হঠাৎ জানা যায় যে ছেলেটি শিব হয়েছে, সে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাই যাত্রা বন্ধ হবার জোগাড়। শিব অসুস্থ হলে শিবের অভিনয় কে করবে? সেই কথা ভেবে সবাই শিবের খোঁজ করতে লাগল।

গ্রামের সকলে তখন স্থির করলাে যে গদাই অনেক শিবের গান জানে। যদিও তার খুব অল্প বয়স। আর শিব সাজলে তাকে দেখাবেও ভালাে।

গ্রামের সকলের পছন্দ অনুযায়ী গদাই শব সাজলাে। গদাই আসরে উপস্থিত হল ধীর মন্থর ভাবে কোনাে দিকে না তাকিয়ে তার সেই জটাধারী বেশ, ধীর ভাবে চলা, অটল অচল অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকা, মুখে হাসি সমগ্র ভাবে এক অপার্থিব রূপ ফুটে উঠল।

গদাধরের সেই রূপে অবাক ও আনন্দিত হয়ে উঠল গ্রামের লােকেরা। সবাই চিৎকার করে হরিধ্বনি করে উঠল। কোনাে কোনাে মহিলারা শঙ্খধ্বনি ও উলুধ্বনি করতে লাগল।

তা সত্ত্বেও কিন্তু গদাধরের সম্বিত ফিরল না। তিনি কিন্তু নির্বিকার। সেই ভাবেই তিনি আসরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। সবাই দেখে অবাক হয়ে গেল এই ভাবে সে যে কোনাে স্থান পরিবর্তন করছে না বা কথাও বলছে না।

শেষ পর্যন্ত দেখা গেল দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়েই গদাধর জ্ঞান হারিয়েছে। তার শরীরে কোনাে সাড় নেই।

এরপর যাত্রা ভঙ্গ হল। গ্রামের কিছু লোেক মিলে গদাইকে কাঁধে তুলে কোনাে রকমে বাড়িতে পৌছে দিল।

সেই রাত্রিতে কোনােভাবেই গদাইয়ের ভাব ভঙ্গ করা গলে না। শেষ পর্যন্ত পরের দিন ভােরবেলায় সে প্রকৃতিস্থ হল।

গদাধরের পিতা মারা যান তঁার যখন সাত বছর বয়স। গদাধরের দাদা

রামকুমার তাঁর উপনয়ণের ব্যবস্থা করেন যখন তার নয় বছর বয়স। গদাইয়ের ধাইমা ছিল কামার পুকুরের কামার বাড়ির মেয়ে ধনী। ধনী গদাইকে খুব ভালােবাসতাে। গদাই তাঁকে ধাইমা বলে ডাকতাে।

ধনীর মনে আকাঙ্খ ছিল যে গঙ্গাধর উপনয়ণের সময় তাকে মা বলে সম্বােধন করে তার কাছ থেকে প্রথম ভিক্ষা নেবে।

গদাধর সেই কথা জানতে পেরে ধনীর আকাঙ্খা পূর্ণ করবে বলে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছিল।

বালক গদাইয়ের কথায় বিশ্বাস করে সামান্য কিছু অর্থ সংগ্রহ করে ধনী সেই শুভদিনটি অর্থাৎ তার উপনয়ণের দিনটির প্রতীক্ষায় দিন গুনছিল।

সুতরাং, উপনয়ণের দিনটি আসিলে গদাই তার দাদা রামকুমারকে তার প্রতিশ্রুতির কথা জানায়। এমন অপ্রীতিকর বা অশাস্ত্রীয় ঘটনা তাদের বংশে আগে কোনােদিনও ঘটেনি। সুতরাং রামকুমার প্রচণ্ড ভাবে এর বিরােধিতা করলেন।

কিন্তু গদাই তীব্র প্রতিবাদ করে বললাে যে, যদি ধনী কামারানীর কাছে সে ভিক্ষে না নেয় তাহলে সে সত্যভঙ্গ করবে। তার কাছে গদাই অঙ্গীকারবদ্ধ। এটা অপরাধজনক কাজ বলে গদাই মনে করে। পরিষ্কার কথায় গদাধর জানিয়ে দেয় যে সে মিথ্যাবাদী ব্রাহ্মণ হতে পারবে না।

অবশেষে গদাধরই জয়ী হয়। উপনয়ণের সময় সন্ন্যাসীবেশে গদাই ধনীকে মা বলে ডেকে নিজের হাত পেতে তার হাত থেকে প্রথম ভিক্ষা গ্রহণ করে।

উপনয়ণের পর গদাই পুজো ও ধ্যান করেই দিন অতিবাহিত করতে থাকে। এইভাবেই দিন দিন ভাবসমাধির অধিকারী হয়ে উঠতে থাকে সে। ক্রমে ক্রমে এভাবে তার জীবনে বিভিন্ন রকমের দিব্য দর্শন হতে থাকে। এভাবেই ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ পরিপূর্ণ রূপ ধারণ করে।

তাঁর বড় দাদার মৃত্যুর পর তিনি রাণী রাসমণির দক্ষিণেশ্বরের কালীমন্দিরের পূজারী নিযুক্ত হন।

তােতাপুরীর শিষ্য হলেন গদাধর। তােতাপুরীই গদাধরের নাম দেন রামকৃষ্ণ পরমহংস। রামকৃষ্ণ মা কালীর পরম ভক্ত ছিলেন।

জীবনের মহা-মন্ত্র তিনিই প্রথম শেখালেন সমাজের প্রতিটি মানুষকে। প্রচুর ভক্ত নরনারী তাঁর সাধনায় যােগদান করে উপকৃত হল। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের বাণী আর উপদেশ শুনে ধন্য হল সমাজ ও জগতের প্রত্যেকটি মানুষ। দক্ষিণেশ্বরে এলেন মা সারদামণি। আরও অনেক অনেক মহাপুরুষ এলেন। যেমন এলেন নরেন্দ্রনাথ দত্ত—যিনি পরে জগতের কাছে জগৎজয়ী স্বামী বিবেকানন্দ নামে পরিচিত হন। এছাড়াও ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের কাছে আসতেন ব্রহ্মানন্দ, প্রেমানন্দ, সারদানন্দ প্রভৃতি সাধু সন্ন্যাসীরা। এছাড়াও বিখ্যাত বহু লােকেদের সমাগম হয়েছিল তাঁর কাছে। যেমন- শিবনাথ শাস্ত্রী, কেশবচন্দ্র সেন, বিজয়কৃষ্ণ গােস্বামী—এদের মধ্যে প্রধান ছিলেন। আরােও এলেন ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র, নাট্যকার গিরিশচন্দ্র প্রভৃতি বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব। সাধারণ গৃহের ভক্তদেরও সমাবেশ হয়েছিল দক্ষিণেশ্বরে ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণের কাছে। তাঁর প্রচণ্ড ভক্তির কথা শুনে সারা দেশ থেকে প্রচুর নরনারীরা এলাে তাঁর কাছে।

ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণ সকলকে বলতেন—“সৎ পথে থেকো, তােমাদের চৈতন্য হােক।” তাঁর সঙ্গে সর্বদা থাকতেন তাঁর আদর্শ স্ত্রী শ্রী সারদামণি। তিনি সবার, সমস্ত জগতের মা সারদা, সকলের মা তিনি। তাঁর অপরিসীম দান এবং কাজের মহিমা বলে শেষ করা যায় না। টাকা পয়সা তিনি কখনােই হাত দিয়ে ছুঁয়েও দেখতেন না। তাঁর কাছে এসব ছিল সামান্য মাটির মতাে। একমাত্র মা কালী ছাড়া তার কাছে কোনাে পার্থিব জিনিসের মূল্য ছিল না।

অবশেষে তিনি ক্যান্সার রােগে শয্যাশায়ী হলেন। ঘনিয়ে এলাে তাঁর শেষ দিন। চিরবিদায়ের শেষ দিন তিনি তাঁর সবচেয়ে প্রিয় শিষ্য বিবেকানন্দকে ডেকে বলেছিলেন—“নরেন, আমার সব ছেলেরা রইলাে। তুই সকলের চেয়ে বুদ্ধিমান—ওদের দেখিস।”

শ্রী শ্রী সারদা দেবীর কাছে তিনি ১৮৮৬ খ্রিঃ ১৫ই আগষ্ট বিদায় নিলেন। বললেন, “মনে হচ্ছে, জলের মধ্যে দিয়ে অনেক দূর চলে যাচ্ছি।” ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ১৮৮৬ খ্রিস্টাব্দের ১৬ই আগষ্ট রাত একটা দু মিনিটে মহাসমাধিতে চলে যান। পরদিন সন্ধ্যায় ছটায় কাশীপুর মহাশ্মশানে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের পবিত্র শরীর চিতাগ্নিতে আহুতি দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন –

ভগিনী নিবেদিতা – স্বামী বিবেকানন্দের স্বনামধন্যা শিষ্যা,সন্ন্যাসিনী।

স্বামী বিবেকানন্দ- বীর সন্ন্যাসী, হিন্দু ধর্মের প্রচারক, সমাজ সংস্কারক, জাতীয়তাবাদী।

দেবী সারদামণি – সকলের মা, ধর্মপ্রাণা এবং সরল প্রকৃতির মানবী

3 thoughts on “শ্রীরামকৃষ্ণ – কালী- সাধক , ধর্মীয় গুরু ।”

Leave a Comment